গোনাহ মাফের জন্য কুরআনের ভাষায় দোয়া - আমার প্রিয় বাংলা বই

সাম্প্রতিকঃ

Post Top Ad

Responsive Ads Here

January 27, 2021

গোনাহ মাফের জন্য কুরআনের ভাষায় দোয়া


লেখকঃ
শাহাদাৎ হুসাইন খান ফয়সাল রহ.

কুরআনে কারীমের কিছু আয়াত যেগুলো গুনাহ মাফের দু‘আর সাথে সম্পৃক্ত

১.   رَبِّ إِنِّىْ ظَلَمْتُ نَفْسِىْ فَاغْفِرْ لِىْ

অর্থাৎঃ হে আমার রব, নিশ্চয় আমি আমার নফ্সের প্রতি যুল্ম করেছি, সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।

২.   أَنْتَ وَلِيُّنَا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الْغَافِرِينَ

অর্থাৎঃ আপনি আমাদের অভিভাবক। সুতরাং আমাদের ক্ষমা করে দিন এবং আপনি উত্তম ক্ষমাশীল।

৩. رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ

অর্থাৎঃ হে আমাদের রব! আপনি ক্ষমা করুন, দয়া করুন এবং আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।

৪.   رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا إِنَّكَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

অর্থাৎঃ হে আমাদের রব, আমাদের জন্য আমাদের আলো পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন; নিশ্চয় আপনি সর্ববিষয়ে সর্বক্ষমতাবান।

৫.   سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ

অর্থাৎঃ আমরা শুনলাম এবং মানলাম। হে আমাদের রব! আমরা আপনারই (নিকট) ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল।

৬. رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ … وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ

অর্থাৎঃ ‘হে আমাদের রব্! আপনি আমাদের পক্ষ হ’তে এটি কবূল করুন। নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ’। ‘আমাদের ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি অধিক তওবা কবূলকারী ও দয়াময়’।

৭. ভুল-ভ্রান্তিবশতঃ কোন কাজ হয়ে গেলে তা থেকে ক্ষমা প্রার্থনার দু‘আ :

رَبَّنَا لَاتُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا

অর্থাৎঃ ‘হে আমাদের রব্! আমাদের দায়ী করেন না যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি’।

৮. কোন কাজ সহজ হওয়া ও কাজ সম্পাদনে ভুল-ত্রুটি ক্ষমা চাওয়া এবং বরকত চাওয়ার দু‘আ :

رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَه عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِه وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

অর্থাৎঃ ‘হে আমাদের রব্! আমাদের ওপর ভারী ও কঠিন কাজের বোঝা অর্পণ করেন না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তী লোকেদের ওপর অর্পণ করেছিলে। হে আমাদের রব্! আমাদের ওপর এমন কঠিন দায়িত্ব দিয়েন না যা সম্পাদন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের পাপ মোচন করুন, আমাদের ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন। তুমিই আমাদের রব্! সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করুন’।

৯. গুনাহ মাফ ও জাহান্নামের ‘আযাব থেকে বাঁচার দু‘আ :

رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

অর্থাৎঃ ‘হে আমাদের রব্! নিশ্চয় আমরা ঈমান এনেছি। অতএব আমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের ‘আযাব হ’তে রক্ষা করুন’।

১০. জাহান্নামের ‘আযাব থেকে বাঁচার এবং ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করার জন্য দু‘আ :

رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هٰذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ 191 رَبَّنَا إِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَه وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ 192 رَبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُّنَادِىْ لِلْإِيمَانِ أَنْ آمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ 193

অর্থাৎঃ ‘হে আমাদের রব্! তুমি এগুলিকে অনর্থক সৃষ্টি করেননি। মহা পবিত্র আপনি। অতএব আপনি আমাদেরকে জাহান্নামের ‘আযাব থেকে বাঁচান’! ‘হে আমাদের রব্! নিশ্চয় আপনি যাকে জাহান্নামে নিষ্পাপ করেন, তাকে আপনি লাঞ্ছিত করব। আর সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্যে তো কোন সাহায্যকারী নেই’। ‘হে আমাদের রব্! নিশ্চয় আমরা একজন আহবানকারীকে (মুহাম্মাদ) শুনেছি যিনি ঈমানের প্রতি আহবান করছেন এই বলে যে, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। অতঃপর সে মতে আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। অতএব হে আমাদের রব্! আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করুন ও আমাদের দোষ-ত্রুটিসমূহ মার্জনা করুন এবং আমাদেরকে সৎকর্মশীলদের সাথে মৃত্যুদান করুন (অর্থাৎ তাদের মধ্যে শামিল কর)’।

১১. আল্লাহর হুকুম অমান্য করার পাপ থেকে ক্ষমা চাওয়ার দু‘আ :

رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ

অর্থাৎঃ ‘হে আমাদের রব্! আমরা আমাদের নিজেদের উপর যুল্ম করেছি। এক্ষণে যদি আপনি আমাদের ক্ষমা না করেন ও দয়া না করেন, তাহ’লে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ব’।

১২. নিজের ও ভাইয়ের জন্য ক্ষমা চেয়ে দু‘আ :

رَبِّ اغْفِرْ لِىْ وَلِأَخِىْ وَأَدْخِلْنَا فِىْ رَحْمَتِكَ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ

অর্থাৎঃ ‘হে আমার রব! আমাকে মাফ করো এবং আমার ভাইকে মাফ করো। এবং আমাদেরকে তোমার রহমতের মধ্যে প্রবেশ করাও। বস্তুত তুমিই শ্রেষ্ঠ দয়ালু’।

১৩. অবৈধ ও নিষিদ্ধ বিষয়ের কামনা করলে যে পাপ হয়, তা ক্ষমার জন্য দু‘আ :

رَبِّ إِنِّىْ أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِىْ بِه عِلْمٌ وَإِلَّا تَغْفِرْ لِىْ وَتَرْحَمْنِىْ أَكُنْ مِّنَ الْخَاسِرِينَ

অর্থাৎঃ ‘হে আমার রব! আমি তোমার নিকট এমন বিষয়ে আবেদন করা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যে বিষয়ে আমার কোন জ্ঞান নেই। এক্ষণে যদি আপনি আমাকে ক্ষমা না করেন এবং আমার প্রতি দয়া না করেন, তাহ’লে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব’।

১৪. সন্তানাদিসহ নিজে মুসল্লী হওয়া এবং পিতা-মাতা সহ সমস্ত মুসলিম ব্যক্তির জন্য দু‘আ (ইবরাহীম (আ.)-এর দু‘আ) :

رَبِّ اجْعَلْنِىْ مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِىْ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ 40 رَبَّنَا اغْفِرْ لِىْ وَلِوَالِدَىَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ 41

অর্থাৎঃ ‘হে আমার রব! আমাকে ছালাত ক্বায়িমকারী করুন এবং আমার সন্তানদের মধ্য থেকেও। হে আমাদের রব্! আমার দু‘আ কবূল করুন’! ‘হে আমাদের রব্! আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে এবং ঈমানদার সকলকে ক্ষমা করুন যেদিন হিসাব দন্ডায়মান হবে’।

১৫. আল্লাহর রহমত কামনা ও ক্ষমা চাওয়ার দু‘আ :

رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ

অর্থাৎঃ ‘হে আমাদের রব্! আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি রহম কর। তুমি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু’।

১৬. হিংসা-বিদ্বেষ দূর করার দু‘আ :

رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِىْ قُلُوبِنَا غِلًّا لِّلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ

অর্থাৎঃ ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে ও আমাদের পূর্ববর্তী ভাইয়েরা যারা ঈমান এনেছে তাদের ক্ষমা কর, ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রেখো না। হে আমাদের রব্! নিশ্চয় আপনি দয়ালু পরম করুণাময়’।

১৭. কাফেরদের ওপর বিজয়ের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা :

رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

অর্থাৎঃ ‘হে আমাদের রব! আমাদের পাপগুলো ক্ষমা করে দিন, আর আমাদের কাজে যতটুকু বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে তাও মাফ করে দিন। আমাদেরকে দৃঢ় রাখুন এবং কাফেরদের ওপর আমাদেরকে সাহার্য করুন’।

১৮. ফিতনা-ফাসাদ থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা :

رَبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَإِلَيْكَ أَنَبْنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ 4 رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ 5

অর্থাৎঃ ‘হে আমাদের রব! আমরা আপনার ওপরই ভরসা করেছি, আপনার দিকেই মুখ করেছি এবং আপনার দিকেই আমাদের ফিরে যেতে হবে। হে আমাদের রব্! আপনি আমাদেরকে কাফেরদের জন্য পরীক্ষার পাত্র করবেন না। হে আমাদের, রব্! আপনি আমাদের ক্ষমা করুন, নিশ্চয় আপনি মহা শক্তিধর ও প্রজ্ঞাময়’।

১৯. বালা-মুসীবাত ও মহামারির সময় পিতা-মাতা ও মু’মিনদের রক্ষার জন্য ও যালিমদের ধ্বংসের জন্য নূহ (আ.)-এর দু‘আ :

رَبِّ اغْفِرْ لِىْ وَلِوَالِدَىَّ وَلِمَنْ دَخَلَ بَيْتِىَ مُؤْمِنًا وَّلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَلَا تَزِدِ الظَّالِمِينَ إِلَّا تَبَارًا

অর্থাৎঃ ‘হে আমার রব্! আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে ক্ষমা করুন, আর যে ব্যক্তি আমার বাড়ীতে মু’মিন অবস্থায় প্রবেশ করবে তাকে ক্ষমা করুন এবং সকল মু’মিন নর-নারীকে ক্ষমা করুন। আর যালিমদের ধ্বংস বৃদ্ধি করুন’।

২০. পাপ ক্ষমা চেয়ে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার জন্য দু‘আ :

رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

অর্থাৎঃ ‘হে আমাদের রব! আমরা ঈমান এনেছি, অতএব আপনি আমাদের গুনাহ ক্ষমা করে দিন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন হ’তে রক্ষা করুন’।

No comments:

Post a Comment

আমার প্রিয় বাংলা বই-এর যে কোন লেখাতে যে কোন ত্রুটি বা অসংগতি পরিলক্ষিত হলে দয়া করে আমাদের লিখুন।